পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাজ সেবার নামে বেআইনি ভাবে গ্রামের সাধারণ ভোটারদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার ১০ নং সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবু গোবিন্দোর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সাড়ে তিন বছর ধরে সুকৌশলে গোবিন্দগুহ গ্রাম সহ মুনিনাগ ও সারেংকাঠী এলাকায় সাধারণ মানুষকে বি জি এফ কার্ড সহ বয়স্ক ভাতা, সরকারী ঘর নির্মাণ, মৎস্য ভাতা দেওয়ার নাম করে গোবিন্দ মেম্বর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি হুমকি ধুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাদা দাবীরও অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে চরম অনিয়ম করে দারুণ বিতর্কিত এলাকার মেম্বার । সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যে সমাজ সেবার নামে এক ধরনের প্রহসনের রাজনীতি শুরু করায় চরম নিন্দিত বর্তমান মেম্বর গোবিন্দ । গত কাল সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নানান দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করার চেষ্টা করেন । আষাঢ় মাসের বর্ষাকে উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন গণ মাধ্যম কর্মীরা স্ব শরীরে ভুক্তভোগীদের দুয়ারে দুয়ারে যান। এসময়ে হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। অনুসন্ধানে স্থানীয় মেম্বার ত্রাণের চাল নিয়ে বহু নাটক করে আসছে। মোঃ আজিম নামের এক লোকের কাছে ৮০ হাজার টাকা চাদা দাবী করে। পরবর্তী সময়ে সাবেক এম পি জনপ্রিয় অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যারের কাছে অভিযোগ পেশ করেন। পাশাপাশি সাবেক একই ওয়ার্ডের মেম্বরের কাছেও মাসোহারা নিতে ভুল করেনা। এদিকে এলাকায় বার বার অন্যায় ভাবে বাল্য বিবাহ দিয়ে চরম বিতর্কিত গোবিন্দ মেম্বর । প্রতিবাদী লোকজন সরাসরি কথা না বললেও লিখিত বহু অভিযোগ পেশ করেন গণ মাধ্যম কর্মীদের কাছে। অপর দিকে গত ২৫ মার্চ হতে কোন রকম সরকারি সাহায্য সহযোগিতা দিচ্ছে না বলে এলাকার বেশীরভাগ জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। অপর দিকে সর্বশেষ সরকারের ২৫০০ টাকা বিতরণ স্থানীয় মেম্বার কৌশলে প্রতি জনের কাছ থেকে উৎকোচ নেয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এদিকে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে আরও বেশ কিছু চমৎকার চমৎকার তথ্য বের হয়ে আসে। দুর্নীতির বাসা বেধেছে স্থানীয় মেম্বারের কাজে কর্মের মধ্যে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর মহৎ কাজকে কুলশীত করে স্থানীয় গোবিন্দ মেম্বর হয়েছে চরম বিতর্কিত। অবশ্য আরও বাদ যায়নি একই ইউনিয়নের বহ জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় মেম্বার সম্পুর্ন মনগড়া ভাবে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী সরকারের ২৫০০ টাকার লিষ্ট গোবিন্দ মেম্বরের খেয়াল খুশি মত লিষ্টের তালিকা তৌরি করেন। তবে লজ্জার বিষয় পরিষদের বোর্ডে লিষ্ট টানানো হয়নি। আর এনিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও রয়েছে চরম বিতর্কিত। প্রকাশ্যে কোন রকম তালিকা টানানো হয়নি। এদিকে গ্রামের বহু ব্যাক্তির নাম দিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনাও সরেজমিনে বের হয়ে আসে । দূর্ণীতির বহু থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে জনপ্রতিনিধির। আজিমের মত বহ লোকজন মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেশ করেন চেয়ারম্যান সহ সাবেক এম পির কাছে। গোবিন্দ মেম্বর ঘর দেওয়ার নাম করে বহু অসহায় মানুষগুলোর কাছ থেকে ৮০০০/,৫০০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বয়স্ক ভাতার নামেও বহু তেলেসমাতি রয়েছে।মেম্বারের দুর্নীতিকে সরাসরি সাপোর্ট দিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান জনগণের মধ্যে বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বেশী বিতর্কিত হয়েছে ২৫০০ টাকার নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের বোর্ডে না টানিয়ে। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে বাল্য বিবাহ সহ বহু দুর্নীতির গোমর ফাঁস হয়েছে ধীর গতিতে। সর্বশেষ আপন আত্মীয় গত সপ্তাহে ভান্ডারিয়া থেকে নাবালক স্কুল বালিকা নিয়ে পালিয়ে আসে মেম্বারের বাডীতে। মেয়ের মা বাবা গতকাল পর্যন্ত স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে সারেংকাঠী আসেনি। স্থানীয় মেম্বার প্রশাসনকেও অবগত করেননি। এদিকে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয় জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের। মিডিয়ার লোকজনদের সঙ্গে কথা বললেও কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়নি। কাজের ব্যস্ততার কথা বলে স্বল্প সময় দেন। অপর দিকে গোবিন্দ মেম্বরের সাথে কথা হয় মিডিয়ার । গণ মাধ্যম কর্মীদের কোন প্রশ্নের সঠিক নিয়মে সঠিক জবাব দিতে পারেনি বর্তমান মেম্বার বাবু গোবিন্দ । বরং কোন রকম আমতা আমতা করে বলেন এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র আমার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তথ্য মতে, এলাকার বেশীরভাগ লোকজন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করবো গোবিন্দ মেম্বরের বিরুদ্ধে। আপনারা জাতির বিবেক তাই আপনারা সাধারণ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সত্য ঘটনা তুলে ধরুন জাতীর কাছে।
Leave a Reply